| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল অপারেশন ডেভিল হান্টে যেনো আইনের ব্যত্যয় না ঘটে : মাওলানা ইউনুছ আহমাদ


অপারেশন ডেভিল হান্টে যেনো আইনের ব্যত্যয় না ঘটে : মাওলানা ইউনুছ আহমাদ


রহমত নিউজ     10 February, 2025     11:21 AM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, একটি নির্মম স্বৈরশাসনের অবসানের পরে দেশকে স্থিতিশীল করতে এবং জনশৃংখলা ফিরিয়ে আনতে “ডেভিল”দের নিধন করা অপরিহার্য কাজ ছিলো। সরকার দেরি হলেও সেই কাজ শুরু করেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও অপরাধীদের নিরাপদে বিচরণ করার খবর জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে যার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে গত কয়েক দিনে। একটি কার্যকর রাষ্ট্রে আইন বহির্ভুত ভাংচুর গ্রহণযোগ্য না হলেও স্বৈরাচারের নির্লজ্জতা তার পটভূমি তৈরি করেছে এবং ন্যায্যতা তৈরি করেছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সচিব পর্ষদের এক সভায় এসব কথা বলেন।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আমরা মনে করি, বিপ্লবের পরে স্বৈরাচারের বিচারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। সেজন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে বল আমরা আশা করি। তবে একই সাথে একটি বিষয়ে সতর্ক করতে চাই যে, কোন অবস্থাতেই আইনের শাসনের ব্যত্যয় যেনো না ঘটে। অপরাধী যত বড়ই হোক বা তার পাপের পাল্লা যত ভারিই হোক তার বিচার আইনের মাধ্যমেই হতে হবে এবং আইন প্রয়োগে অবশ্যই বিদ্যমান রীতি-নীতির কঠোর অনুসরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, অতিতের অভিজ্ঞতায় বলা যায় যে, এই ধরণের অপারেশনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরাপরাধ মানুষ ফেঁসে যায়। তথ্যের গড়মিল, গড়ে পড়তা ধরপাকড় ইত্যাদির কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানী হয়। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি এই বিষয়গুলোতে সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞি। আশরাফুল আলম ও হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারি মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম আতিকুর রহমান।